সাতটি নারিকেল গাছের মূল্য সাত লাখ টাকা পুলিশ ইন্সপেক্টরের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ
আপডেট সময় :
২০২৫-০৩-২২ ২৩:০৯:০৮
সাতটি নারিকেল গাছের মূল্য সাত লাখ টাকা পুলিশ ইন্সপেক্টরের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতটি নারিকেল গাছের মূল্য সাত লাখ টাকা নির্ধারণ করে এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় জেলার গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, পুলিশ ইন্সপেক্টর সৈয়দ শফিউল হোসেন সোহেল গৌরনদীর উত্তর সরিকল গ্রামের সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পটুয়াখালীতে কর্মরত রয়েছেন।
ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরের ভাই সৈয়দ জুয়েল বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত আতাহার কাজীর ছেলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সৈয়দ জুয়েল ও তার বড় ভাই দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী সৈয়দ রুবেলের ক্রয়কৃত জমির মধ্যে পাশ্ববর্তী মসজিদের পাঁচটি এবং তাদের নিজস্ব দুইটি নারিকেল গাছ বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পরেছিলো। যা মসজিদ কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে কেটে ফেলা হয়।
পরবর্তীতে গাছ কাটার একদিন পরেই সেখানে মসজিদের জন্য ভিয়েতনামের উন্নতজাতের নারিকেল গাছ রোপন করে দেওয়া হয়।
সৈয়দ জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাজী আমিনুল ইসলাম বিপ্লব সাতটি গাছ কাটার জন্য আমার অপর ভাই পুলিশ ইন্সপেক্টর সৈয়দ শফিউল হোসেন সোহেলের কাছে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি (জুয়েল) আরো বলেন মসজিদ কমিটির সাথে আলোচনার পর জুয়েল গাছ কাটার লেবার পনিরের সাথে ৩ হাজার টাকায় গাছ কেটে দেওয়ার চুক্তি আবদ্ধ হন। লেবার পনিরের সুবিধামতে তিনি (পনির) সন্ধ্যার পরে গাছ কাটেন ওই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিপ্লব পনিরকে ধরে এনে চাঁদার টাকা পাওয়ার সুবিধার্থে সফিউল হোসেন সোহেল সরকারি (পুলিশ) চাকুরি করেন বিধায় তার নাম প্রকাশ করিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
একপর্যায়ে তাকে (কাজী বিপ্লব) দুই লাখ টাকা দেওয়া না হলে গাছ কাটার ঘটনায় মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদান করা হয়।
পুলিশ ইন্সপেক্টর সৈয়দ শফিউল হোসেন সোহেল বলেন, ক্রয়কৃত ওই জমি মালিক আমার দুইভাই। সেখানে গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে ফোনের মাধ্যমে বিভিন্নধরনের হুমকি প্রদর্শন করে কাজী বিপ্লব প্রথমে সাতটি নারিকেল গাছের জন্য সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাকে দুই লাখ টাকা দেওয়া না হলে গাছ কাটার ঘটনায় মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শণ করা হয়।
চাঁদা দাবির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে কাজী আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, রাতের আঁধারে মসজিদের গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করায় আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। যার কোন সত্যতা নেই।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স